বিজেপির দলীয় কর্মসূচী ঘিরে উত্তেজনা : বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা বহিরাগতদের

24th December 2020 9:34 am বাঁকুড়া
বিজেপির দলীয় কর্মসূচী ঘিরে উত্তেজনা : বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা বহিরাগতদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বিজেপির কর্মসূচী ঘিরে উত্তেজনা  জয়পুর ব্লকের উত্তর বার অঞ্চল এর বৈতল ঝগড়ায় মন্দির উত্তর বার এলাকা । বিজেপির পতাকা টাঙানো ও চারটি গ্রামে বিজেপি আর নয় অন্যায় আর নয় বেকারত্ব প্রচার চলাকালীন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন দুষ্কৃতীর দ্বারা আক্রান্ত হন বিজেপির কর্মীরা। অভিযোগ এর তীর তৃণমূলের দিকে । বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিজেপির কর্মীরা, তারা বলেন বিজেপির কর্মসূচী চলাকালীন পুলিশের উপস্থিতিতেই মারধর করেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । বিজেপির ১২ জন কর্মী গুরুতরভাবে আহত হন । তিনজনকে জরুরী ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিজেপি অভিযোগ করেন পুলিশের অনুুুমতি থাকা কালিন ও পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও এলাকায় মারামারি হতে পারে তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনো রকমের সক্রিয়তার ভূমিকা পালন করেনি ।  এই বিষয়ে জয়পুর ব্লক মন্ডল ২ বিজেপির সভাপতি মানু চন্দ তিনি বলেন লোকসভা ভোটের পর থেকেই তৃনমূল বলে এলাকার কোন কিছুই নেই ।  তাই তারা ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসে আজ এলাকা দখল করার জন্য  বিজেপির কর্মীদের উপর অত্যাচার করে এবং মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল ।  প্রত্যেকের হাতেই রড বাঁশ ,  কাঠ দিয়ে তারা কর্মীদের উপর চড়াও হয় ।  প্রায় ৭০ থেকে ৮০  জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী, তৃণমূল বাইরে থেকে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসে এলাকা দখল করার চেষ্টা করছে উত্তর বার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে হামলা হয় বলে জানান। কিন্তু এরকম ভাবে বিজেপিকে আটকানোর যায় না যাবে না বলে তিনি জানান। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল । বিজেপি নিজের দলীয় কোন্দলকে তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে । এসব ঘটনার সাথে তৃণমূল কোনভাবেই যুক্ত নয় । যারা দোষী প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নেবে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।